রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
লাভজনক চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশীদের হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত বন্ধে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার সমাবেশ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট রিট বিশেষজ্ঞের সাথে সিআরবি প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত বিএসটিআই অনুমোদিত পণ্যে ওজন হ্রাস ও নকল পণ্যের বিপণন বন্ধে সিআরবি’র আবেদন সিম একটিভেশন রিচার্জ ব্যতীত অন্যান্য সকল রিচার্জের মেয়াদ বাতিল করে গ্রাহক সুরক্ষার জন্য বিটিআরসি চেয়ারম্যানকে সিআরবি’র আবেদন। অসাধু ও ভেজালকারীদের উৎসাহিত করছে ! সাতকানিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার ফেসবুক মন্তব্য সিআরবি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার উদ্যোগে কেরানিহাট বাজার পর্যবেক্ষণ “সিআরবি’র নরসিংদী জেলা কনজিউমার এক্টিভিস্ট স্মারক সম্মাননা-২০২৫” সম্পন্ন আপনার নামে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা আছে জানবেন যেভাবে ক্রেতা সুরক্ষা আন্দোলন-সিআরবি’র শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখা বাজার পর্যবেক্ষণ ঘুসের লাখ টাকা ফেরত দিলেন ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক

লাভজনক চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশীদের হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত বন্ধে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার সমাবেশ

আব্বাস উদ্দীন ধ্রুব
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক নিউজ :

লাভজনক চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশীদের হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত বন্ধ করার দাবিতে ৯ নভেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর সারাদেশে বিক্ষোভ,গণসংযোগ,পদযাত্রার কর্মসূচী এবং এর মধ্যে দাবি না মানলে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে যমুনা ঘেরাও,এরপর প্রয়োজনে হরতাল কর্মসূচী দেওয়া হবে বলে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

লাভজনক চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশীদের হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত বন্ধ করার দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে আজ ৮ নভেম্বর,২০২৫,শনিবার, বিকাল ৪ টায় পুরাতন স্টেশন চত্বরের গণসমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এ গণসমাবেশে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ( স্কপ) এর নেতাকর্মীরা বিশাল মিছিল নিয়ে যোগ দেন ও সংহতি জানান।

বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাসদ(মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক এড শফি উদ্দিন কবির আবিদের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র সাবেক সভাপতি শাহ আলম, বাসদ,কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ,বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী,বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদ(মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণমুক্তি ইউনিয়ন।কেন্দ্রীয় আহবায়ক নাসিরউদ্দিন নাসু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু,বাংলাদেশ সোশ্যালিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম,বাসদ(মাহবুব) এর কেন্দ্রীয় সদস্য আয়ুব রানা। সমাবেশ পরিচালন করেন সিপিবি জেলা যুগ্ম সম্পাদক নুরুচ্ছফা ভুঁইয়া।সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ(স্কপ) এর ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী চট্টগ্রাম বন্দর সিবিএর সাবেক সেক্রেটারি শ্রমিকনেতা শেখ নুরুল্লাহ বাহার,সিপিবি জেলা সভাপতি অশোক সাহা,গণমুক্তি ইউনিয়ন জেলা সভাপতি রাজা মিঞা,বাসদ জেলা ইনচার্জ আল কাদেরি জয়,সাম্যবাদী আন্দোলন জেলা সমন্বয়ক শাহীন মঞ্জুর।

উপস্থিত ছিলেন ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি তপন দত্ত, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসকে খোদা তোতন,শ্রমিকনেতা মৃণাল চৌধুরী,মসিউদৌল্লা, স্কপের যুগ্মসমন্বয়কারী রিজওয়ানুর রহমান খান।

কমরেড বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন,”অন্তর্বর্তী সরকারের কোন এক্তিয়ার নেই লাভজনক বন্দর বিদেশীদের হাতে তুলে দেওয়ার।সরকার বিদেশীদের সাথে চুক্তি করার জন্য যেরকম উঠে পড়ে লেগেছে,বন্দরের মাশুল বাড়ালো,তাতে স্পষ্ট সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।এছাড়া সরকার নানা ইস্যু তৈরি করে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে।নির্বাচন বানচালের কোনো ষড়যন্ত্র জনগণ সফল হতে দেবেনা”

কমরেড শাহ আলম বলেন,“বন্দরের পরিচালনা বিদেশী কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকার সাম্রাজ্যবাদের স্বার্থে একগুঁয়ের মতো আচরণ করছে।দেশের শ্রমজীবি ও সাধারণ মানুষ প্রবল অর্থনৈতিক সংকটসহ হাজারো সমস্যায় পর্যুদস্ত,অথচ সরকারের সেদিকে মনোযোগ নেই,তারা বন্দর,করিডোর নিয়ে সাম্রাজ্যবাদীদের সাথে চক্রান্তে ব্যস্ত। চট্টগ্রাম সূর্যসেন,প্রীতিলতার মাটি।চট্টগ্রামের মানুষ বন্দর নিয়ে সাম্রাজ্যবাদীদের চক্রান্ত সফল করতে দেবেনা

নেতৃবৃন্দ বলেন,“ বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানির ৯২ ভাগ চট্টগ্রাম বন্দর দিযে হয়। অর্থাৎ দেশের অর্থনীতি প্রধানতঃ চট্টগ্রাম বন্দরের উপর নিভর্রশীল। বন্দরের মত কৌশলগত সম্পদ নিয়ে যেকোন সিদ্ধান্ত শুধু অর্থনৈতিক লাভ দিয়ে বিচার করা যায়না,দীর্ঘমেয়াদে দেশের অর্থনৈতিক-সামরিক নিরাপত্তা,ঝুঁকি ইত্যাদি অনেকগুলো স্পর্শকাতর বিষয় এর সাথে যুক্ত।বিশেষ করে যেখানে আমাদের একটিমাত্র প্রধান বন্দর সেখানে বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে এর কোনো অংশ তুলে দেওয়া আরও ঝুঁকিপূর্ণ। অথচ যেসব দেশের সাথে তুলনা দেওয়া হচ্ছে,সেসব দেশের বন্দরের গভীরতা,বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনে নৌ,রেল,সড়কপথে আলাদা করিডোরের ব্যবস্থা- কিছুর সাথেই কি বাংলাদেশের তুলনা খাটে? সিঙ্গাপুর বন্দরের গভীরতা ১৬ মিটার, শ্রীলংকার কলম্বো বন্দরের গভীরতা ১৮ মিটার, ভিয়েতনামের সায়গন বন্দরের গভীরতা ১১ মিটার। এই বন্দরগুলোতে গভীরতার কারণে অনায়াসে বড় জাহাজ ভিড়তে পারে, যেটা চট্টগ্রাম বন্দরে সম্ভব না।কারণ চট্টগ্রাম বন্দর নদী বন্দর হওয়ায় জোয়ারের সময় গভীরতা থাকে সাড়ে ৯ মিটার,ভাটার সময় গভীরতা থাকে ৬/৭ মিটার। নাব্যতার এই সীমাবদ্ধতার কারণে বড় জাহাজ এই বন্দরে ভিড়তে পারে না। প্রাকৃতিক এই সীমাবদ্ধতা কোন বিদেশী অপারেটরের পক্ষে দূর করা সম্ভব নয়। ফলে এই বন্দরের সক্ষমতা একটা সীমার বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়।ফলে বিদেশের সাথে প্রেক্ষিতবিহীন তুলনা দিয়ে বিদেশী কোম্পানির হাতে নিউমুরিং টার্মিনাল তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী।”

নেতারা আরো বলেন,“প্রধান উপদেষ্ঠা বিরোধিতাকারীদের প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন, এখন চট্টগ্রাম পুলিশ প্রশাসন একমাসের জন্য বন্দর এলাকায় যেকোন সভা- সমাবেশ নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। দেখা যাচ্ছে,গণঅভ্যুত্থানের পরও বর্তমান সরকার সেই হাসিনার ফ্যাসিবাদী ভাষাতেই কথা বলছেন।

নেতৃবৃনাদ আরো বলে,“ বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানির ৯২ ভাগ চট্টগ্রাম বন্দর দিযে হয়। অর্থাৎ দেশের অর্থনীতি প্রধানতঃ চট্টগ্রাম বন্দরের উপর নিভর্রশীল। বন্দরের মত কৌশলগত সম্পদ নিয়ে যেকোন সিদ্ধান্ত শুধু অর্থনৈতিক লাভ দিয়ে বিচার করা যায়না,দীর্ঘমেয়াদে দেশের অর্থনৈতিক-সামরিক নিরাপত্তা,ঝুঁকি ইত্যাদি অনেকগুলো স্পর্শকাতর বিষয় এর সাথে যুক্ত।বিশেষ করে যেখানে আমাদের একটিমাত্র প্রধান বন্দর সেখানে বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে এর কোনো অংশ তুলে দেওয়া আরও ঝুঁকিপূর্ণ। অথচ যেসব দেশের সাথে তুলনা দেওয়া হচ্ছে,সেসব দেশের বন্দরের গভীরতা,বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনে নৌ,রেল,সড়কপথে আলাদা করিডোরের ব্যবস্থা- কিছুর সাথেই কি বাংলাদেশের তুলনা খাটে? সিঙ্গাপুর বন্দরের গভীরতা ১৬ মিটার, শ্রীলংকার কলম্বো বন্দরের গভীরতা ১৮ মিটার, ভিয়েতনামের সায়গন বন্দরের গভীরতা ১১ মিটার। এই বন্দরগুলোতে গভীরতার কারণে অনায়াসে বড় জাহাজ ভিড়তে পারে, যেটা চট্টগ্রাম বন্দরে সম্ভব না।কারণ চট্টগ্রাম বন্দর নদী বন্দর হওয়ায় জোয়ারের সময় গভীরতা থাকে সাড়ে ৯ মিটার,ভাটার সময় গভীরতা থাকে ৬/৭ মিটার। নাব্যতার এই সীমাবদ্ধতার কারণে বড় জাহাজ এই বন্দরে ভিড়তে পারে না। প্রাকৃতিক এই সীমাবদ্ধতা কোন বিদেশী অপারেটরের পক্ষে দূর করা সম্ভব নয়। ফলে এই বন্দরের সক্ষমতা একটা সীমার বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়।ফলে বিদেশের সাথে প্রেক্ষিতবিহীন তুলনা দিয়ে বিদেশী কোম্পানির হাতে নিউমুরিং টার্মিনাল তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী।”

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর লাভজনক থাকার পরেও বিদেশী কোম্পানির স্বার্থে বন্দরের মাশুল ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে সরকার। এতে দেশে আমদানি রপ্তানির খরচ বাড়লেও লাভবান হবে ডিপিওয়ার্ল্ড, এপিএম টার্মিনালস, পিএসএ ইন্টারন্যাশনালের মতো বিদেশী টার্মিনাল অপারেটর, যাদের কাছে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন টার্মিনাল

ইজারা দেয়া হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনালফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) পরামর্শে এই মাশুল বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া—এই সাত দেশের ১৪টি বন্দরের মধ্যে ১৩টি বন্দরের মাশুলের চেয়ে চট্টগ্রামের মাশুল বেশি হবে।এর সরাসরি প্রভাব পড়বে দেশের শিল্প-কৃষিসহ সমস্ত সেক্টরে।যার ফলে সব ক্ষেত্রেই মূল্যবৃদ্ধি ঘটবে,যার পুরো বোঝা বইতে হবে দেশের সাধারণ মানুষকেই।বিদেশী কোম্পানির লাভের জন্য যারা দেশের জনগণের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিতে পারে ,তারা দেশদ্রোহী ছাড়া কিছু নয়।“

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন,”স্বাধীনতার পর ৫৪ বছরেও কেন জাতীয় সক্ষমতা গড়ে তোলা হলো না?আমাদের কেন জাতীয় বন্দর নীতি (National Port Policy) নেই- যা সিঙ্গাপুর, মালেশিয়া, ভিয়েতনামের আছে? কেন সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া যেভাবে নিজেদের রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষকে শক্তিশালী করেছে, বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সেখানে বিনিয়োগ করেছে, রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা ও বিনিয়োগে বন্দরের সাথে সরাসরি সড়ক, নৌপথে পণ্য পরিবহনের জন্য আলাদা করিডোর গড়ে তুলেছে, বন্দর কর্মীদের দক্ষতা ও আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন করে গড়ে তোলার জন্য রাষ্ট্রীয় ট্রেনিং সেন্টার গড়ে তুলে ও প্রশিক্ষণ দিয়ে বিশাল দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলেছে, সে মৌলিক ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়েছে-সেরকম কোনো দীর্ঘমেয়াদী জাতীয় পরিকল্পনা, রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় সক্ষমতা কেন গড়ে তোলা হলোনা? সে মৌলিক ভিত্তি তৈরির কোনো আয়োজন ছাড়া বন্দরের সব টার্মিনালের ব্যবস্থাপনা বিদেশি কর্পোরেটদের হাতে ছেড়ে দিয়ে কীভাবে একসময় সারা বিশ্বের বন্দরখাতে আমরা নেতৃত্ব দেবো? অথচ প্রধান উপদেষ্টা সে ধরণের আকাশকুসুম কল্পনায় জনগণকে মাতিয়ে তুলতে চাইছেন।“

সমাবেশ শেষে একটি মশাল মিছিল পুরাতন স্টেশন থেকে শুরু হয়ে নিউমার্কেট এসে শেষ হয়।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2020 All rights reserved
Design by: SELF HOST BD
themesba-lates1749691102