বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট রিট বিশেষজ্ঞের সাথে সিআরবি প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত
সংবাদ দাতার নাম
-
প্রকাশের সময় :
শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫
-
৩০
বার পড়া হয়েছে
মোঃ আব্বাস উদ্দীন ধ্রুব নেতৃত্ব সিআরবি প্রতিনিধি দল সংগঠনের প্রকাশনা এডভোকেট রওশন আলীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত ০৬ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ক্রেতা সুরক্ষা আন্দোলন – কাউন্সিল অব কনজিউমার রাইটস বাংলাদেশ (সিআরবি)-এর একটি তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রিট বিষয়ক বিশেষজ্ঞ আইনজীবী এডভোকেট রওশন আলীর সাথে সৌজন্য ও মতবিনিময় বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন সিআরবি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ আব্বাস উদ্দীন ধ্রুব।
ক্রেতা সুরক্ষা আন্দোলন – কাউন্সিল অব কনজিউমার রাইটস বাংলাদেশ (সিআরবি) ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা কার্যক্রমে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব নিশ্চিত করতে উচ্চ আদালতে আপিল দায়েরের উদ্যোগ নিয়েছে। এই বিষয়ে আইনি পরামর্শ গ্রহণের লক্ষ্যে গত ০৬ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে সিআরবি’র একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রিট বিশেষজ্ঞ এডভোকেট রওশন আলীর সাথে বৈঠক করে।
সিআরবি’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মো. আব্বাস উদ্দীন ধ্রুব’র নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সিআরবি’র কনজিউমার এক্টিভিস্ট ও দলিল লেখক মো. মিজানুর রহমান এবং কনজিউমার এক্টিভিস্ট ও শিক্ষানবীশ আইনজীবী মোহাম্মদ হালিম।
বৈঠকে বলা হয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুযায়ী ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বিএসটিআই, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ নিয়মিত জরিমানা আদায় করছে। তবে ব্যবসায়ীদের আইন সংক্রান্ত সচেতনতা ও প্রশিক্ষণের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি, যা জাতিসংঘের ভোক্তা অধিকার নীতিমালার “মানুষের জানার অধিকার” ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
প্রতিনিধি দল জানায়, শুধু জরিমানা আদায়ই ভোক্তা সুরক্ষার স্থায়ী সমাধান নয়। বরং ব্যবসায়ীদের আইন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ, উপযুক্ত নির্দেশনা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করলে অপরাধ কমবে এবং বাজারে ন্যায্যতার পরিবেশ তৈরি হবে। বর্তমানে প্রশাসন জরিমানা আদায়ে মনোযোগী হওয়ায় জরিমানা দিয়েই অপরাধ থেকে ‘মুক্তি পাওয়ার’ প্রবণতা বাড়ছে, যা ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনকে অব্যাহত করছে।
এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সিআরবি উচ্চ আদালতে একটি আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রস্তাবিত আপিলে দাবি জানানো হবে যে, ভোক্তা অধিকার আইনে যে জরিমানা আদায় করা হয় তা যেন ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের প্রশিক্ষণ এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রমে ব্যয় করা বাধ্যতামূলক করা হয়, অন্য কোনো খাতে যেন এই অর্থ ব্যয় না হয়।
বৈঠকে এডভোকেট রওশন আলী সিআরবি’র উদ্যোগকে সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করেন এবং যথাযথ আইনি সহায়তার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিআরবি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ আব্বাস উদ্দীন ধ্রুব, নারায়ণগঞ্জ জেলার সিআরবি কনজিউমার অ্যাক্টিভিস্ট ও দলিল লেখক মোঃ মিজানুর রহমান এবং শিক্ষানবীশ আইনজীবী ও কনজিউমার অ্যাক্টিভিস্ট মোহাম্মদ হালিম। বৈঠক শেষে সিআরবি প্রতিনিধি দল সংগঠনের প্রকাশনা এডভোকেট রওশন আলীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।
এ বিভাগের আরো সংবাদ