ভোক্তা অধিকার সচেতনতায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা সদরে সিআরবি’র বাজার পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন
মো: আব্বাস উদ্দীন ধ্রুব
-
প্রকাশের সময় :
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫
-
৩৮
বার পড়া হয়েছে
ডেস্ক নিউজ :
আজ মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫ ইং, ক্রেতা সুরক্ষা আন্দোলন ভলান্টারি মুভমেন্ট- কাউন্সিল অব কনজিউমার রাইটস বাংলাদেশ-সিআরবি শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার উদ্যোগে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১:৩০টা পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল শহরের অবস্থিত কাঁচা বাজার ও খোলা বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন–২০০৯ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আইন বিষয়ক লিফলেট বিতরণ ও বাজার পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ গোলাম রহমান মামুন। উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আমাজাদ হোসেন, এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
কাঁচা বাজারে যেসব অনিয়ম পাওয়া যায় মনিটরিংকালে দেখা যায়— অধিকাংশ দোকানে পণ্যের মূল্যতালিকা নেই, কারো কারো মূল্যতালিকা থাকলেও তা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করা হয়নি, অনেক ডিজিটাল পরিমাপযন্ত্রে বিএসটিআই কর্তৃক পরীক্ষিত স্টিকার নেই, কিছু ব্যবসায়ী যন্ত্র কোথায় নিয়ে পরীক্ষা করাতে হয় তাও জানেন না।
সিআরবি নেতৃবৃন্দ মনে করেন—এটি বিএসটিআই কর্তৃপক্ষের যথাযথ মনিটরিংয়ের অভাব এবং বাজার ব্যবস্থাপনায় সচেতনতার ঘাটতির ফলে ঘটছে।
পোলট্রি দোকানের অবস্থা – বাজারের পোলট্রি অংশে বেশিরভাগ দোকানে মূল্যতালিকা ও বিএসটিআই পরীক্ষিত ডিজিটাল পাল্লা থাকলেও রোমন পোলট্রি এবং হাসান বার্ড দোকানে মূল্যতালিকা না থাকা এবং পাল্লায় আপডেটেড পরীক্ষিত স্টিকার না থাকার বিষয়টি সিআরবি প্রতিনিধি দল শনাক্ত করে।
ব্যবসায়ীদের পরামর্শ ও ভোক্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি – সকল ব্যবসায়ীকে— মূল্যতালিকা দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখা, পরিমাপযন্ত্র নিয়মিতভাবে বিএসটিআই পরীক্ষায় নিয়ে যাওয়া, ভোক্তার ন্যায্য অধিকারকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পরামর্শ প্রদান করা হয়।
ভোক্তা অধিকার আইনের ৩৮ ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক দোকানে দৃশ্যমান জায়গায় পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা বাধ্যতামূলক। কোন দোকানে পণ্যের মূল্য তালিকা না থাকলে অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ ব্যবসায়ী এসব আইন সম্পর্কে অবগত নয়। দোকানের সাইনবোর্ড নেই, বিক্রয় রশিদ নেই। অবৈধ ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছেন ব্যবসায়ীরা। সরকারী সুযোগ সুবিধা নিয়ে কর্মকর্তারা আয়েসী জীবন উপভোগ করছেন । পক্ষান্তরে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে সরকার এবং ভোক্তা সমাজ।
এ সময় উপস্থিত ভোক্তা ও দোকান মালিকদের মাঝে ভোক্তা সংরক্ষণ আইন–২০০৯ সম্পর্কিত লিফলেট বিতরণ করা হয়, যাতে তারা নিজেদের অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে আরও অবগত হতে পারেন।
ক্রেতা সুরক্ষা আন্দোলন-সিআরবি’র শ্র্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে সরকার সংশ্লিষ্ট : জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নিরাপদ খদ্য কর্তৃপক্ষ, বিএসটিআই, ঔষধ প্রশাসন ও কৃষি বিপনণ অধিদপ্তরকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর আহ্বান জানানো হয়। সরকারী সংস্থার সমূহের জবাবদিহিতার অভাবে মাঠ পর্যায়ে তাদের বাজার মনিটরিং কার্যক্রম সঠিক ভাবে হচ্ছে না। তাছাড়া অনেকে জানেই না এই পরিমাপ যন্ত্র কোথায় নিয়ে পরিক্ষা করে আনতে হবে। এটি বি,এস,টি,আই কতৃপক্ষের অবহেলা ও সঠিক মনিটরিং এর অভাবেই এমটি হচ্ছে বলে আমোরা মনে করি।
ক্রেতা সুরক্ষা আন্দোলন-সিআরবি’র উদ্দেশ্য – বাজার পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে সিআরবি শ্রীমঙ্গল শাখার লক্ষ্য— বাজারে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, দোকান মালিক ও ভোক্তা—উভয়ের মধ্যে সচেতনতা তৈরি, ন্যায্য ও সুষ্ঠু বাণিজ্য নিশ্চিত করা, এবং সর্বোপরি ভোক্তার অধিকার সুরক্ষিত করা।
ক্রেতা সুরক্ষার স্বার্থে সিআরবি শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখা ভবিষ্যতেও এমন নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে বলে জানায়।
এ বিভাগের আরো সংবাদ