আশুলিয়ায় একাধিক ছাত্র হত্যা মামলার আসামি সংগঠিত করছেন আওয়ামী লীগ
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে নিয়মিত নেতাকর্মী ও ক্যাডারদের নিয়ে নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের জিরানীবাজার থেকে বাইপাইল মহড়া দিতেন জামগড়া এলাকার জামান মীর। তার বিরুদ্ধে ৫ টি ছাত্র-জনতা হত্যা মামলা দায়ের হলেও প্রকাশ্যেই সংগঠিত করছেন আ:লীগ। তিনি ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আ:লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জামান মীর শিমুলিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রায় ১০ বছর ধরে। এসময়কালে তিনি দমন-পীড়ন, দখল বানিজ্য, ফুটপাত ও পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন, চালাতেন বিশাল সম্রাজ্য। তার নেতৃত্বেই চলা জামগড়া এলাকায় কিশোর গ্যাং এর দৌরাত্ম যেন থামছেই না। এছাড়া তিনি টেন্ডার সিন্ডিকেট পরিচালনা করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে অনৈতিক পথে অর্থ উপার্জন করে নামে বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি। সেখান থেকে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে অর্থ ব্যয় করেছেন এই জামান মীর।
আশুলিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামান মীরের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতা হত্যার দায়ে ৫ টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। সম্প্রতি সেই মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, জামান মীর ওয়ার্ড আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হলেও পুরো ইউনিয়নের ছিল তার সর্বোচ্চ দাপট। সেই দাপট দেখিয়ে এলাকায় দখল বানিজ্যে ডুবে ছিলেন তিনি। তবে ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে তিনিও গা ঢাকা দেন। তবে কিছু দিন যাবৎ এলাকায় এসে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়ে দেয়। বর্তমানে তিনি ১ মামলায় জামিনে রয়েছেন।
আবদুল্লাহ্ নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, গত ৫ আগস্টের পরে জামান মীরকে বেশ কিছুদিন এলাকায় দেখা যায় নি। তবে এখন তিনি ইয়ারপুর ইউনিয়নেই প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করেন। তার বিরুদ্ধে ৫ টি হত্যা মামলা থাকলেও তিনি বুক ফুলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মামলার আসামিদের অবাধ চলাফেরা দেখে মনে হয় আ.লীগ এখনও তাদের দখল সম্রাজ্য টিকে রেখেছে। তিনি জামগড়াসহ ইয়ারপুরের বিভিন্ন এলাকায় আ.লীগ পুনর্বাসন ও সংগঠিত করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আমরা শুধু তাকে ঘরোয়া মিটিং করতে দেখি।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) নূর আলম সিদ্দিকী বলেন, হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।