ঘুসের লাখ টাকা ফেরত দিলেন ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক
সংবাদ দাতার নাম
প্রকাশের সময় :
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫
১৮
বার পড়া হয়েছে
ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন
সিভয়েস ডেস্ক: সংবাদটি ডিলিট করায় রিভিউ সংবাদ হিসাবে প্রকাশ করা হলো :
প্রকাশিত: ১৩:৪৩, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
ঘুষের এক লাখ টাকা হজম করতে পারলেন না কক্সবাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (এডি) মো. ইমরান হোসাইন। ঘুষ নেয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের একটি সালিশি বৈঠক শেষে রামু উপজেলার নাহার ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ আবদুল্লাহকে ফেরত দিতে বাধ্য হলেন তিনি।
এ ঘটনায় কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কক্সবাজারের সদস্য পরিচয় দানকারী রিদুয়ান নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে প্রশাসন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্য মতে, গত ৬ সেপ্টেম্বর রামুতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সেদিন পরিমাপে তেল কম দেয়ার অভিযোগে রামু চৌমুহনীর নাহার ফিলিং স্টেশনকে প্রথমে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক মো. ইমরান হোসাইন। এসময় ক্যাব কক্সবাজারের সদস্য পরিচয়ধারী রিদুয়ান নামের এক ব্যক্তি তার সাথে ছিলেন।
ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষ এত টাকা জরিমানা দিতে পারবে না জানালে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেন সহকারী পরিচালক মো. ইমরান হোসাইন। কিন্তু পরে ক্যাব কক্সবাজারের সদস্য পরিচয়ধারী ওই রিদুয়ান ফের ওই ফিলিং স্টেশনে গিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে ঘুষ দাবি করলে তার সঙ্গে রফাদফা করে নাহার ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষ। এরপর ওই দিন সন্ধ্যায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক মো. ইমরান হোসাইন আবারও নাহার ফিলিং স্টেশনে গিয়ে আগের জরিমানার স্থলে নতুন ২০ হাজার টাকা নিয়ে স্টেশনের সিলগালা তুলে নেয়। কিন্তু জরিমানা ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়ে তার বিপরীতে শুধুমাত্র ২০ হাজার টাকার রশিদ দেয়ায় বিষয়টি তাদের সন্দেহ হয়।
এ বিষয়টি ফিলিং স্টেশন কর্মকর্তারা স্টেশনটির মালিক আমেরিকা প্রবাসী এজাজুল ওমর চৌধুরী প্রকাশ বাট্টু মিয়াকে জানান। তার পরামর্শ মতে নাহার ফিলিং স্টেশন ম্যানেজার আবদুল্লাহ কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ পেয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি সালিশি বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ঘুসের ১ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসাইন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান জানান, ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কক্সবাজারের সদস্য পরিচয়ধারী রিদুয়ানকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।