সিআরবি শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার উদ্যোগে বাজার পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম।
মো: আব্বাস উদ্দীন ধ্রুব
-
প্রকাশের সময় :
সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫
-
৩১
বার পড়া হয়েছে
ডেস্ক নিউজ :
২৯ অক্টোবর বুধবার ক্রেতা সুরক্ষা আন্দোলন ভলান্টারি মুভমেন্ট-কাউন্সিল অব কনজিউমার রাইটস বাংলাদেশ-সিআরবি শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার উদ্যোগে বাজার পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাজার পযবেক্ষণ কাযক্রমের অংশ হিসাবে শ্রীমঙ্গল শহরের কার্যক্রম হিসেবে শহরের কালিঘাট রোড়ে অবস্থিত ০৪ টি বেকারি মনিটরিং করেন। তারমধ্যে রাজা ফুড় এন্ড বেকারি, আপ্যায়ন বেকারি, কর্নফুলি বেকারি ও ভিআইপি বেকারি গুলো মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করে দেখাযায় রাজা ফুড এন্ড বেকারি অবস্থা খুবই খরাপ। কার্মীদের হাতে গ্লাবস্ নাই, বেকারি খাদ্য পন্য খোলা অবস্থায় নোংরা পরিবেশে রেখে দিয়েছে। পন্য উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ নাই। আপ্যায়ন বেকারি কেকের সাথে ভার্নিশের রং ব্যবহার করে এবং ফ্লেভারের ক্যামিকেলের কোন মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ নাই। তাছাড়া কর্নফুলি বেকারির পন্যের গায়ে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ন তারিখ নাই।
তারপর ভানুগাছ রোডে অবস্থিত ০২ টি বেকারিতে মনিটরিং কার্যক্র পরিচালনা করা হয়। কুমিল্লা পেড়া ভান্ডার ও হেলো লাইভ বেকারি। তবে কুমিল্লা পেড়া ভান্ডারের পরিবেশে খুবই নোংরা। কর্মীদের হাতে নাই গ্লাবস, মিষ্ট খোলা অবস্থায় রাখা হয়েছে এমনকি মাছি মরে পড়ে আছে মিষ্টির মধ্যে।
বাজার পযবেক্ষণকালীন ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের মধ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন সম্পর্কে সচেতনতার লিফলেট বিতরণ করা হয়।
তবে কোন দোকানেই মূল্য তলিকা পাওয়া যায় নি। তবে অনেক দোকানে মেয়াদউত্তীর্ন তারিখ অতিক্রম করার পরও পন্য দোকানের তাকে সাজিয়ে রেখেছিল বিক্রির উদ্দেশ্যে। সিআরবি’র পর্যবেক্ষক টিম যে সকল দোকানে অনিয়মের তথ্য-প্রমান পেয়েছেন তা নোট করে স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিত ভাবে অবহিত করার জন্য সংশ্লিস্ট দোকান মালিক/ম্যানেজারের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন।
বাজার পর্যবেক্ষণ টিম ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আইনের বিভিন্ন ধারার অপরাধ এবং শাস্তির বিধান সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়। যে সকল দোকানে মূল্য তালিকা নেই তাদের মূল্য তলিকা প্রদর্শনের জন্য অনরোধ জানানো হয়। ভোক্তা অধিকার আইনের ৩৮ ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক দোকানে দৃশ্যমান জায়গায় পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা বাধ্যতামূলক। কোন দোকানে পণ্যের মূল্য তালিকা না থাকলে অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ ব্যবসায়ী এসব আইন সম্পর্কে অবগত নয়। দোকানের সাইনবোর্ড নেই, বিক্রয় রশিদ নেই, অপরিচ্ছন্ন পণ্য মজুত এবং উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ বিহীন পণ্য বিপনণ চলছে।
ক্রেতা সুরক্ষা আন্দোলন-সিআরবি’র শ্র্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে সরকার সংশ্লিষ্ট : জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নিরাপদ খদ্য কর্তৃপক্ষ, বিএসটিআই, ঔষধ প্রশাসন ও কৃষি বিপনণ অধিদপ্তরকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর আহ্বান জানানো হয়।ক্রেতা সুরক্ষার জন্য সরকার এই ৫টি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করলেও নিয়োগ প্রাপ্তদের নৈতিকতা, যোগ্যতা ও জবাবদিহিতার অভাবে মাঠ পর্যায়ে তাদের বাজার মনিটরিং কার্যক্রম সঠিক ভাবে হচ্ছে না। এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব এবং জনগণ হচ্ছে নি:স্ব।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার বাজার পর্যবেক্ষণে অংশগ্রহণ করেন শাখার সভাপতি-গোলাম রহমান মামুন, সাধারণ সম্পাদক-মোঃ ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক-মোঃ আমজাদ হোসেন, প্রচার ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক-সাইফুল ইসলাম সাব্বির সহ প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো সংবাদ