মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৭:২৩ অপরাহ্ন

প্রতিবেশীর সাথে হোক শতাব্দির সেরা ঈদ

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৫ জুন, ২০২০
  • ১৫৪০ বার পড়া হয়েছে

ছোটবেলায় বইয়ে পড়ছিলাম ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে নতুন জামা পড়ে বাবার হাত ধরে নামায পড়তে যাওয়া, ফিন্নী-সেমাই খাওয়া। এসব বইয়ে পড়লেও মনে মনে মেনে নিয়েছিলাম ঈদ মানে ছলে বলে কৌশলে বড়দের থেকে সালামীর অংকটা বড় করা।

বাঙালি হিসেবে আমাদের ঘরে ঈদ আসে বিটিভি প্রচারিত সেই কালজয়ী গান শুনে। “ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ”। বহুবার আমরা এই গানটি শুনলেও চাঁদরাতে একবার না শুনলে কেনো যেনো ঈদের পূর্ণতা আসে না। নতুন জামা কাপড়গুলো ভাঁজ করে রেখে শেষ রমজানের ইফতার করেই অপেক্ষা। কখন নীল আকাশের কোণে হাসি দিয়ে নিজের মুখ দেখাবে লাজুক চাঁদমামা। এ যেনো বাঙ্গালী মুসলীমের ঈদকে বরণ করে নেয়ার হাজার বছরের পুরোনো রেওয়াজ।

তবে এবারও একইভাবে টিভিতে গান বাজবে। আকাশের কোণে চাঁদ মামাও হাসি দিবে। কিন্তু তার হাসিটা কি কিছুটা মলিন থাকবে? করোনার বিষে কি নীল হবে চাঁদ মামার সে হাসি? ধনীদের জন্য হয়তো না, তাদের চাঁদমামা আগের মতই লাজুক উজ্জ্বল হাসি হাসবে। আর গরীব কিংবা মধ্যবিত্তদের চাঁদমামা হয়তো হবে বহুরুপী। এবার ঈদের সেই কালজয়ী গানের সুর কি মধ্যবিত্ত বাবাদের বুকে চিন চিনে ব্যাথায় মলিন হবে?

প্রায় দুই মাসের অধিক সময় ধরে চলছে করোনার এক পক্ষীয় রাজত্ব। এক কথায় পুরোদেশের অর্থনীতির চাঁকা থমকে আছে। সেই সাথে ধমকে আছে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তসহ সকলের উর্পাজনের চাঁকা। যেখানে জৈবিক চাহিদা পূরণে সবাই হিমশিম খাচ্ছে সেখানে ঈদ হয়তো অনেক বড় বিলাসিতা৷ তাইতো তাদের ঘরে হয়তো চাঁদমামার হাসি বিষের মতই নীল হবে।

তবে আমরা কিন্তু চাইলেই পারি নিজের ঈদকে শতাব্দির সেরা ঈদে পরিণত করতে। পুরো দেশের দায়িত্ব নেয়ার দরকার নেই। শুধু নিজের প্রতিবেশির সাথে ভাগাভাগি করে নিন ঈদ আনন্দ। নিজের এক প্যাকেট সেমাই কম কিনে, প্রতিবেশীকে এক প্যাকেট সেমাই। কিংবা নিজে এক কেজি বাজার কম করে, প্রতিবেশীকে এক কেজি বাজার করে দেওয়ার মাধ্যমেই এই ঈদ হতে পারে আপনার শতাব্দীর সেরা ঈদ। কারণ এক প্যাকেট সেমাই বা এক কেজি বাজার করে দিয়েই আপনি হতে পারেন আপনার প্রতিবেশীর লাজুক চাঁদ মামা।

লেখক: শিক্ষার্থী, সরকারি তিতুমীর কলেজ

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2020 All rights reserved
Design by: SELF HOST BD
themesba-lates1749691102